মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সাইদীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির কার্ডিওলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী লিখেছেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। কোরআনের পাখি (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) ৮:৪০-এ দুনিয়ার সফর শেষ করেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউতে আনা হয়েছিল সাইদীকে।
তারও আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে তাকে (দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তার বুকে ব্যথা, হার্টে সমস্যা, প্রেশার ও ডায়াবেটিসজনিত কিছু সমস্যা ছিল। সেখানে তার ইসিজিসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বিএসএমইউয়ে পাঠানো হয়।
২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল দুটি অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন।